
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া ৫৫ দশমিক ৫১ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউজের তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হওয়ার পর মাঠে নেমেছে থানা পুলিশও। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কাস্টমসের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত-পূর্বক প্রকৃত ঘটনা বের করার চেষ্টা করবো।’
জানা গেছে, প্রায় ১৫ কোটি টাকা মূল্যের এসব স্বর্ণ উধাওয়ের বিষয়টি রবিবার অফিস খোলার পর কর্মকর্তাদের নজরে আসে। এ ঘটনায় কাস্টমসের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মূলত যে স্বর্ণ যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ করা হতো তা কাস্টমস হাউজের গুদামে রাখা হয়েছিল। তবে কীভাবে এতো পরিমাণ স্বর্ণ উধাও হলো সে বিষয়ে কাস্টমসের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন- উল্লাপাড়ায় পাটের দর কম হওয়ায় বিপাকে পাট চাষীরা
সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। পুলিশের পাশাপাশি স্বর্ণ উদ্ধারে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে।
সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন জানান, বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, সংরক্ষিত এলাকায় থেকে চুরি হওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই এটি চুরি নাকি ভেতরের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা আত্মসাৎ করেছে তা নিশ্চিত না।
তিনি বলেন, ‘কয়েক ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এটা হতে পারে আত্মসাৎ, অথবা বাইরের কারো কাজ। কাস্টমস এনিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে।’
উপ-কমিশনার বলেন, ‘অপরাধী ধরতে গুদামের পাহারায় থাকা চার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি গুদামের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও বিশ্লেষণ চলছে।’
তিনি জানান, গুদামে থাকা বাকি ৫৪ কেজি স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।
সূত্র বলছে, এই ঘটনায় কাস্টমসের গুদাম ঘরের দায়িত্বে থাকা রাজস্ব কর্মকর্তার অবহেলাকে দায়ি করা হচ্ছে।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।