Uncategorized

বরিশালের শ্রমিক লীগ নেতা রইজ আহমেদকে গ্রেফতার করতে হবে: মুজিবুল হক

বরিশাল জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মরতুজা আবেদিনের ওপর শ্রমিক লীগ নেতার হামলা এবং লাইসেন্স করা পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি। সোমবার (০৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবাদলিপিতে এ নিন্দা জানিয়ে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহমেদ মান্নাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

প্রতিবাদলিপিতে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘গতকাল কাউন্সিলর মরতুজা আবেদিন ব্যক্তিগত কাজে বরিশাল সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে যান। এ সময় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহমেদ মান্না তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মরতুজা আবেদিনের ওপর হামলা চালান। সেই সঙ্গে কাউন্সিলর মরতুজা আবেদিনের লাইসেন্স করা পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা করে মান্না বাহিনী। পরে পুলিশের হস্থক্ষেপে মরতুজা প্রাণে বেঁচে ফেরেন।’

প্রতিবাদলিপিতে মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কাউন্সিলর মরতুজা আবেদিনের ওপর এই সন্ত্রাসী হামলা মেনে নেওয়া যায় না। শ্রমিক লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধ করতে হলে মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহমেদ মান্নাকে গ্রেফতার করতে হবে।’

এর আগে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর পোর্টরোড এলাকায় সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচবারের কাউন্সিলর মর্তুজা আবেদীনের ওপর হামলা চালান মান্না ও তার সহযোগীরা। এ সময় মর্তুজার সঙ্গে থাকা লাইসেন্সকৃত পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। পরে এলাকাবাসী মর্তুজাকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে তুলে দেন। 

মর্তুজা আবেদীন বলেন, ‘রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর পোর্টরোড সেটেলমেন্ট অফিসে যাই। সেখানে কাজ শেষ করে বের হয়ে অটোরিকশায় উঠতে যাই। এ সময় মান্না ও তার বাহিনী আমার ওপর হামলা চালান। তারা অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান। এ অবস্থায় সেখানে থাকা ট্রাফিক পুলিশের কাছে সাহায্য চাই। ট্রাফিক পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়ে যান।’

মর্তুজা অভিযোগ করেন, ‘মান্নার টার্গেট ছিল আমার অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে ওই অস্ত্র দিয়ে আমারকে হত্যা করার। মান্না একাধিকবার আমাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।’

এ বিষয়ে রইজ উদ্দিন আহমেদ মান্না বলেন, ‘আমি সেটেলমেন্ট অফিসে কাজে যাই। সেখানে আমাকে দেখামাত্রই মর্তুজা গুলি করার চেষ্টা করলে চেপে ধরি। এতে গুলি চালাতে পারেননি। পরে ট্রাফিক পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।’ 

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকেই থানায় আনা হয়েছে। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেবো। পিস্তলটি পুলিশের হেফাজতে আছে।’



Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button